Tuesday, 16 June 2020

মহাবীরের জীবনী

পার্শ্বনাথ এর মৃত্যুর 250 বছর পর মহাবীরের জন্ম হয়। তিনি ছিলেন সর্বশেষ তীর্থঙ্কর। মহাবীরের


জন্ম তারিখ নিয়ে দুটি মত প্রচলিত আছে। প্রথম মতে তাঁর জন্ম 599 খ্রিস্টপূর্বাব্দে ও দ্বিতীয় মতটি

হল 539  খ্রিস্টপূর্বাব্দে। কল্পসূত্র, ভগবতী সূত্র প্রভৃতি জৈন গ্রন্থ মহাবীরের জীবনী বর্ণিত আছে।

বৈশালী উপকণ্ঠে কুন্ড গ্রামে এক অভিযাত জ্ঞাতৃ পরিবারে তার জন্ম হয়। তাঁর পিতা ছিলেন সিদ্ধার্থ

মা এক অভিজাত লিচ্ছবি পরিবারের কন্যা ত্রিশালা। মহাবীরের আসল নাম বর্ধমান। নাতো বা জ্ঞাতৃ

বংশে জন্ম বলে তার আরেক নাম নাতো পুত্র বা জ্ঞাতৃ পুত্র। যশোদার সঙ্গে মহাবীর এর বিবাহ হয়। 

তার একটি কন্যা হয় নাম অনজ্জা বা প্রিয় দর্শনা। প্রকৃত জ্ঞান লাভের আশায় 30 বছর বয়সে তিনি

গৃহত্যাগ করেন। 12 বছর কঠোর সাধনার পর ঋজু পালিকা নদীর তীরে জৃম্ভিক গ্রামের কাছে এক সাল

গাছের নিচে তিনি কেবল জ্ঞান লাভ করেন।


জ্ঞান লাভের পর তিনি পার্শ্ব নাথের পথ অনুসরণ করে জৈন ধর্মের প্রসার ও প্রচার করতে থাকেন।

তিনি প্রচলিত জৈন ধর্মের সংস্কার করেছিলেন। মহাবীর জৈন ধর্মের চতুরযামে  নতুন এক বিধান

সংযোজন করেন। নতুন বিধানটি  হলো "ব্রহ্মচর্য" । মহাবীরের সংশোধিত ও সংযোজিত বিধানগুলি

জৈন সাহিত্যের পাঁচটি মহাব্রত বলে বর্ণিত হয়েছে। দীর্ঘ 42 বছর ধরে মহাবীরের ধর্মপ্রচারের জন্য পূর্ব

ভারতের নানা স্থানে ভ্রমণ করেন। বছরে আট মাস তিনি  স্থান থেকে স্থানান্তরে ঘুরে বেড়াতেন আর

বর্ষার চারমাস কোন এক শহরে অবস্থান করে বর্ষাযাপন করতেন।


তার ধর্মপ্রচারক জীবনের প্রথম দিকের একজন শিষ্য ছিলেন মংখলিপুত্র গোসাল। সাত বছর তিনি

মহাবীর এর সঙ্গে ছিলেন কিন্তু মহাবীর এর সঙ্গে মতপার্থক্য হওয়ার কারণে গোসাল আজীবিক

সম্প্রদায়ভুক্ত হন। মহাবীরের 11 জন প্রধান ব্রাহ্মণ শিষ্য গনধর নামে পরিচিত ছিলেন। তার

শিষ্যদের মধ্যে ইন্দ্রভুতি সকলের শ্রেষ্ঠ ছিলেন। এবং তার শিষ্যাদের  পুরোভাগে ছিলেন চন্দনা

মহাবীর আনুমানিক 468 খ্রিস্টপূর্বাব্দে 72 বছর বয়সে নালন্দা জেলার পাবা বর্তমানে পাবাপুরিতে 

দেহত্যাগ করেন। কথিত আছে তার মৃত্যুর রাতে মল্ল ও লিচ্ছবিরাতার সম্মানে দীপাবলি অনুষ্ঠান করেন।


আমাদের facebook Group এ যুক্ত হতে Click করুন ...



১. মহাবীর কত তম তীর্থঙ্কর ছিলেন?

উত্তর- ২৪ তম


২. কোন কোন গ্রন্থে থেকে মহাবীরের জীবনী সম্পর্কে জানতে পারি?

উত্তর- কল্পসূত্র, ভগবতী সূত্র


৩. মহাবীর কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?

উত্তর- বৈশালী উপকণ্ঠে কুন্ড গ্রামে


৪. মহাবীরের আসল নাম কি?

উত্তর- বর্ধমান


৫. মহাবীর এর পিতা ও মাতার নাম কি?

উত্তর- পিতা ছিলেন সিদ্ধার্থ ও মাতা ত্রিশালা


৬. মহাবীর কোথায় কেবল জ্ঞান লাভ করেন?

উত্তর- ঋজু পালিকা নদীর তীরে জৃম্ভিক গ্রামের কাছে এক সাল গাছের নিচে

তিনি কেবল জ্ঞান লাভ করেন।


৭. মহাবীর কোন বিধানটি চতুরযাম এর সাথে যুক্ত করেন?

উত্তর- ব্রহ্মচর্য


৮. মহাবীরের 11 জন ব্রাহ্মণ শিষ্য কে কি বলা হত?

উত্তর- গনধর


৯. মহাবীরের একজন শ্রেষ্ঠ শিষ্যর নাম লেখ?

উত্তর- ইন্দ্রভুতি


১০. কত বছর বয়সে মহাবীর দেহত্যাগ করেন?

উত্তর- ৭২ বছর বয়সে


১১. মহাবীরের একজন শিষ্যার নাম লেখ?

উত্তর- চন্দনা


১২. মহাবীর কোথায় দেহত্যাগ করেন?

উত্তর- নালন্দা জেলার পাবা তে



জৈন ধর্ম

জৈন ধর্ম বৌদ্ধ ধর্মের তুলনায় অনেক প্রাচীন। বিভিন্ন জৈন সাহিত্যে 24 জন  তীর্থঙ্কর বা ধর্মগুরুর



উল্লেখ আছে। প্রথম তীর্থঙ্কর ছিলেন আদিনাথ । 24 তম তীর্থঙ্কর হলেন মহাবীর । 23 তম তীর্থঙ্কর 

পার্শ্বনাথ গৌতম বুদ্ধের প্রায় 200 বছর পূর্বে জন্মগ্রহণ করেন। জি ধাতু থেকে জিন পদের উৎপত্তি।

জিন থেকে পরবর্তীতে  জৈন কথাটি  এসেছে। রাগ , দ্বেষাদি, রিপু যিনি জয় করেন, তিনি জিন বা

সিদ্ধপুরুষ।  জিনদের প্রচারিত ধর্ম এই অর্থে জৈন ধর্ম।



আমাদের facebook Group এ যুক্ত হতে Click করুন ...



১.প্রথম জৈন তীর্থঙ্কর এর নাম কি?

উত্তর- আদিনাথ


 ২.পার্শ্বনাথ কত তম তীর্থঙ্কর?

উত্তর- ২৩ তম


৩. সর্বশেষ তীর্থঙ্করের নাম কি?

উত্তর- মহাবীর


৪. জৈন কথাটি কোথা থেকে এসেছে?

উত্তর- জি ধাতু থেকে


৫. জৈন সাহিত্যে সর্বমোট কতজন তীর্থঙ্কর এর কথা বলা হয়েছে?

উত্তর- ২৪ জন


পার্শ্বনাথ এর জীবনী


ভবদেব সূরীর লেখা "পার্শ্বনাথ চরিত" গ্রন্থে তীর্থঙ্কর  পার্শ্বনাথ এর জীবন বৃত্তান্ত সম্পর্কে জানা যায়।

বারাণসীর এক অভিজাত পরিবারে  পার্শ্বনাথের জন্ম হয়েছিল। তার পিতার নাম অশ্বসেন

ও মায়ের নাম বামা। অযোধ্যার রাজকন্যা প্রভাবতীর সঙ্গে তাঁর বিবাহ হয়। ৩০ বছর বয়সে তিনি

প্রকৃত জ্ঞান লাভের জন্য তপস্যা শুরু করেন। 84 তম দিনে তার সাধনা পূর্ণ হয়। তিনি কেবল জ্ঞান

লাভ করেন। সুদীর্ঘ 70 বছর ধরে উত্তর ভারতের নানা স্থানে তিনি তার ধর্মমত প্রচার করেন পার্শ্বনাথ

100 বছর বয়সে সম্মেতশিখরে,  বর্তমানে ঝাড়খণ্ডের হাজারীবাগ জেলার পরেশনাথ পাহাড় এ তিনি

দেহত্যাগ করেন



পার্শ্বনাথ উপর উপদেশাবলি


পার্শ্বনাথ চতুযাম এর নির্দেশ দিয়েছিলেন -চতুযাম হল চারটি বিধান

  • অহিংসা এর অর্থ হলো প্রাণী হত্যা না করা

  • সূনৃত এর অর্থ হলো সত্য কথা বলা

  • অস্তেয় এর অর্থ হল দান গ্রহণের অধিকার ও চুরি না করা

  • অপরিগ্রহ এর অর্থ হল আসক্তির নিবৃত্তি


১. কোন গ্রন্থে পার্শ্বনাথ সম্পর্কে জানা যায়?

উত্তর- ভবদেব সূরীর লেখা "পার্শ্বনাথ চরিত" গ্রন্থে তীর্থঙ্কর  পার্শ্বনাথ এর জীবন বৃত্তান্ত

সম্পর্কে জানা যায়।


২. পার্শ্বনাথ কোথায় দেহত্যাগ করেন?

উত্তর- সম্মেতশিখরে,  বর্তমানে ঝাড়খণ্ডের হাজারীবাগ জেলার পরেশনাথ পাহাড় এ


৩. চতুরযাম পালনের নির্দেশ কে দিয়েছিলেন?

উত্তর- পার্শ্বনাথ


৪. চতুরযাম কী?

উত্তর- জৈন ধর্মে অবশ্য পালনিয় চারটি নির্দেশ হল চতুরযাম । এগুলি হলো-

অহিংসা , সূনৃত ,অস্তেয় ,অপরিগ্রহ

আমাদের facebook Group এ যুক্ত হতে Click করুন ...




গৌতম বুদ্ধ

নেপালের কপিলাবস্তুর এক সম্ভ্রান্ত ক্ষত্রিয় শাক্য বংশে বুদ্ধদেবের জন্ম হয়।

তার জন্মস্থান অবশ্য কপিলাবস্তু নয় প্রাচীন লুম্বিনী গ্রাম। তার পিতা শুদ্ধোধন

ও মা মায়াদেবী। কোন কোন প্রাচীন বৌদ্ধ গ্রন্থের শুদ্ধোধন কে কপিলাবস্তুর

রাজা রূপে বর্ণনা করা হয়েছে। বুদ্ধের জন্মকালে কপিলাবস্তু স্বাধীন থাকলেও

শুদ্ধোধন সেখানকার একছত্র রাজা ছিল না।

আমাদের facebook Group এ যুক্ত হতে Click করুন ...



 গৌতম বুদ্ধের প্রথম জীবন



 প্রথম জীবনে  বুদ্ধদেব "গৌতম "এবং "সিদ্ধার্থ" নামে পরিচিত ছিলেন। গৌতম

গোত্রে জন্ম হয় তিনি গৌতম। তার জন্মকালে সকলের আশা পূর্ণ হয়েছিল বলে

তিনি সিদ্ধার্থ। বোধি বা সম্যক জ্ঞান লাভের পর তার বুদ্ধ নামকরণ হয়। সত্য

উপলব্ধি করেছিলেন বলে তিনি তথাগত।


গৌতম এর জন্মের সাতদিন পর তার মা মারা যান।

তার মাসি তথা বিমাতা মহাপ্রজাপতি গৌতমী তাকে পুত্রস্নেহে পালন করেন।

ছোটবেলা থেকেই গৌতমের মনে বৈরাগ্য দেখা দেয়। গৌতম যাতে গৃহত্যাগী

না হয় সেই ভয়ে শুদ্ধোধন সংসারের দিকে তার আকর্ষণ বাড়াবার জন্য যথাসময়ে

যশোধারা নামে এক কন্যার সঙ্গে গৌতমের বিবাহ দেন।  ক্রমে তার এক পুত্র হয়,

তার নাম।  রাহুল কিন্তু সংসারের এই বাঁধন তাকে আটকে রাখতে পারেনি।  29 বছর

বয়সে তিনি গৃহত্যাগ করেন। বৌদ্ধ সাহিত্যে তাঁর গৃহ ত্যাগের দু'রকম বর্ণনা আছে-


 ললিতবিস্তর, বুদ্ধচরিত প্রভৃতি গ্রন্থে বলা হয়েছে রাতের বেলায় আত্মীয়স্বজনদের

অজ্ঞাতে ঘোড়া কন্টকের পিঠে চড়ে সারথী ছন্দকের সঙ্গে তিনি গৃহত্যাগ করেন।


 অরিয়  পরিয়েসনসুত্তে  এক কাহিনীর অবতারণা আছে। এই গ্রন্থ থেকে জানা যায়

গৌতম তাঁর সন্ন্যাস গ্রহণের সংকল্পের কথা শুদ্ধোধন ও গৌতম কে বলেছিলেন।

কিন্তু তাদের অনুমতি না পেয়ে তিনি একাকী বাড়ি ছেড়ে চলে যান।


গৌতমের গৃহ ত্যাগের ঘটনাকে  মহাভিনিষ্ক্রমণ বলে

আমাদের facebook Group এ যুক্ত হতে Click করুন ...


গৌতম থেকে বুদ্ধ


 সত্যের সন্ধানে ঘুরতে ঘুরতে তিনি এলেন লিচ্ছবি গণ রাজ্যের রাজধানী বৈশালীতে।

সেখানে ঋষি আরাড় কালামের শিষ্যত্ব গ্রহণ করে তিনি যোগ অভ্যাস করেন। কিন্তু

এতে তিনি সন্তুষ্ট না হয়ে পাঁচজন সতীর্থকে নিয়ে পুরো উরুবিল্ব বা বর্তমান বোধহয়

চলে যান। উরুবিল্বে এসে গৌতম কৃচ্ছসাধন শুরু করেন। এ সাধনা চলে দীর্ঘ 6 বছর।

তার গৌরবর্ণ দেহ মলিন হলো, চোখ কোটরাগত হলো, শরীর অস্থিসার হলো, শেষে

একদিন জ্ঞান হারিয়ে ফেললেন তিনি। অবশেষে তার ধারণা দৃঢ় হলো অনাহারে থেকে

শরীরকে কষ্ট দিয়ে সম্ভোধি জ্ঞান লাভ হয় না। চিত্ত শুদ্ধ হলে শরীরকে কষ্ট না দিয়ে

ও প্রকৃত জ্ঞান অর্জন করা যায়। তিনি জীবন রক্ষার জন্য অন্য গ্রহণ করেন। তার

কাজে অসন্তুষ্ট হয়ে তার পাঁচজন সঙ্গী তাকে ছেড়ে চলে যান। এর কয়েকদিন পর

ফাল্গুন নদীর তীরে এক বট বা অশ্বথ গাছের তলায় তিনি ধ্যানমগ্ন হলেন। তার মনে

দৃঢ় সংকল্প দুর্লভ বোধিলাভ না করে তিনি আসন ছাড়বেন না। অর্থাৎ বুদ্ধত্ব অর্জন না

করে গৌতম তার ধ্যান ভঙ্গ করবেন না।


অবশেষে এক বৈশাখী পূর্ণিমার রাতে প্রকৃত জ্ঞানের আলোয় তার দেহ-মন উদ্ভাসিত

হলো। তার অন্তরের অজ্ঞান অবিদ্যা  নির্বাপিত হল। তিনি নির্বাণ লাভ করলেন। তার

তার বুদ্ধ পরিচয়ের সেইখান থেকেই শুরু। তখন তার বয়স 35 বছর।


 বুদ্ধের ধর্ম প্রচার


 বুদ্ধ সর্বপ্রথম তার ললিত বাণী প্রচার করেন ঋষিপত্তনে বর্তমান নাম সারনাথ।

শ্রোতারা হলেন তার পাঁচজন প্রাক্তন সতীর্থ। বপ্র, ভদ্রিয়, অশ্বজিত, মহানাম, 

কৌন্ডিন্য,  এরা প্রত্যেকেই ব্রাহ্মণ ছিলেন। এই ঘটনা " ধর্মচক্র প্রবর্তন" নামে

খ্যাত। বুদ্ধের বাণী তে আকৃষ্ট হয়ে সকলেই তার শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন। এই

পাঁচজন   শিস্য নিয়ে সারনাথের প্রথম বৌদ্ধ সংঘ গড়ে উঠলো।


বহুজনহিতায়, বহুজনসুখায়, লোকানুকম্পায়  তার এই ধর্ম প্রচার। তাই

তিনি ধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে স্থান থেকে স্থানান্তরে ঘুরে বেরিয়েছেন। ধর্ম প্রচারের

মাধ্যম রূপে বুদ্ধ লোক ভাষা মাগধী প্রাকৃত কে গ্রহণ করলেন। বৌদ্ধ ধর্মের

জনপ্রিয়তার এটি একটি অন্যতম কারণ। বুদ্ধের দুজন প্রধান শিষ্য ছিলেন

উপালি এবং অভয় রাজকুমার এরা পূর্বে তীর্থঙ্কর মহাবীরের শিষ্য ছিলেন। বুদ্ধ ধর্ম

গ্রহণ করে যারা গৃহ ত্যাগ করে প্রব্রজ্যা নিয়ে সঙ্গে যোগদান করেন তাদেরকে

ভিক্ষু বা শ্রমন বলা হয়। বুদ্ধের প্রব্রজিত শিশুদের সামনের সারিতে ছিলেন শারিপুত্র 

মৌদগল্যায়ন, আনন্দ, মহাকাশ্যপ, মহা কাত্যায়ন উপালী।  প্রব্রজ্যা গ্রহণ

করে মহিলারা সঙ্গে যোগ দিন বুদ্ধের তা অভিপ্রায় ছিল না কিন্তু আনন্দ ও

মহা প্রজাপতির বিশেষ অনুরোধে তিনি তার মত পরিবর্তন করেন।


বুদ্ধদেবের গৃহী শিষ্যদের মধ্যে বিশেষ প্রসিদ্ধ ছিলেন মগদের রাজা বিম্বিসার,

অজাতশত্রু,  রাজবৈদ্য জীবক, শ্রাবস্তীর বণিক অনাথপিন্ডদ, বৈশালী বারবনিতা

অম্রপালি, এবং শ্রাবস্তীর গৃহবধূ বিশাখা।


মহাপরিনির্বাণ


মহাপরিনিব্বান সূত্তে বলা হয়েছে বুদ্ধ কুশিনগর যাওয়ার পথে পাবা  শহরে এসে

উপস্থিত হন। সেখানে তিনি কর্মকার চুন্দের অতিথি হন। চুন্দের বাড়িতে শুকরের

মাংস খেয়ে বুদ্ধ অতিসার রোগে আক্রান্ত হয়। অসুস্থ শরীরে তিনি শেষে কুশীনগর

উপস্থিত হন। সেখানেই তার দেহাবসান হয়। তখন তার বয়স ছিল 80 বছর। বুদ্ধের

দেহাবসান পরিনির্বাণ বা মহাপরিনির্বাণ নামে খ্যাত।



 বুদ্ধের মহাপ্রয়াণের পর কত শত বছর অতিক্রান্ত হয়েছে, কিন্তু শান্তি সাম্য

মৈত্রী ও অহিংসার প্রবক্তা এই মহামানব আজও বিশ্ববন্দিত বিশ্ববরেণ্য।

আমাদের facebook Group এ যুক্ত হতে Click করুন ...